সদ্গুরু জাগ্গি বাসুদেব একজন ভারতীয় যোগী বিশ্ববিখ্যাত অতীন্দ্রিয়বাদী এবং স্বনামধন্য লেখক। তিনি ১৯৫৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের কর্ণাটকের মহীশূর এ তেলেগু ভাষাভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইশা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা । এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা সারা বিশ্বে যোগ প্রোগ্রাম করে মানবিক অতীন্দ্রিয়বাদের চর্চার প্রশিক্ষণ দেয় । এছাড়া এটি সামাজিক প্রচার শিক্ষা এবং পরিবেশগত উন্নয়নের উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত । ধর্ম -আধ্যাত্মিকতা,বিশ্বাস ,স্বাস্থ্য,সম্পর্ক,আত্মজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখা তাঁর বইগুলি একাধিক বিভাগে নিউইয়র্ক টাইমসে শ্রেষ্ঠ বিক্রেতা তালিকাতে ছিল। তাঁর লেখা বইগুলো হল -” ইনার ইঞ্জিনিয়ার : এ যোগী গাইড “।
শিক্ষাজীবন :- তিনি ১৯৭৩ সালে ডেমনোসট্রেশন স্কুল অ্যান্ড মহাজন প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ , মহীশূর এ পড়েন। তাঁর স্কুলের পর তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন মহিশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলেজের বছরগুলিতে তিনি ভ্রমণ এবং মোটরসাইকেলে আগ্রহী ছিলেন।
আধ্যাত্মিক জীবন :- ১৯৮২ সালে ২৫শে সেপ্টেম্বর তিনি চামুন্ডি পাহাড়ে ওঠেন এবং একটি শিলাতে বসেছিলেন, সেখানে তিনি আধ্যাত্মিকতা লাভ করেছিলেন। কৃতিত্ব :- ঈশা ফাউন্ডেশন তাঁর অন্যতম কীর্তি । এছাড়াও তিনি বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন সংস্থায় বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন । যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি , স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি , হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি , লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স সহ এই তালিকায় রয়েছে ডিজিটাল জগতের অন্যতম গুগুল পর্যন্ত । অভ্যন্তরীণ প্রকৌশল , ধ্যানলিঙ্গ, নদীগুলি সংরক্ষণের মানবিক জন্য সমাবেশ, লিঙ্গ ভৈরবী ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মের পরাকাষ্ঠা ।
সম্মান :- আধ্যাত্মিকতা ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে ভারত সরকার পদ্মবিভূষণ বেসামরিক পুরুস্কার প্রদান করে।
সদ্গুরুর মহান উক্তি ও বাণীসমূহ
১) ” যদি তুমি সাফল্য পেতে চাও তবে সর্বপ্রথম এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তুমি তাতে বাধা নও। “ ২) ” সবসময় দেখো চারপাশের সকলের জন্য তুমি সবচেয়ে ভালো কী করতে পারো। নিবেদনের এই বোধই তোমাকে উদ্দীপ্ত করে তুলবে।
“ ৩) ” সেটা করো যেটা তোমার জীবনে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তা যাই হোক না কেন ,সেটা তোমার যোগ্য হওয়া উচিত।
“ ৪) ” তোমার ভালোবাসাকে প্রসারিত করো। শুধু একজন ব্যক্তিকে ভালোবাসবে কেন, যখন সমগ্ৰ মহাবিশ্বকেই তুমি ভালোবাসতে সক্ষম।
“ ৫) ” নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করো, যাতে সব সময় তুমি সমাধানের অংশীদার হতে পারো। “ ৬) ” চিন্তা করাটা শুধু সেই তথ্যগুলির পূর্ণব্যবহার যা আপনি অতীতে জড়ো করেছেন।
“ ৭) ” যদি আপনি নিজের অন্তরে চেয়ে দেখেন ,আপনি এমন একটি জায়গা খুঁজে পাবেন যেখানে সমস্ত কিছুর সমাধান আছে।
“ ৮) ” হতাশা আর বিষন্নতার অর্থ আপনি নিজের বিরুদ্ধে কাজ করে চলছেন।
“ ৯) ” সাফল্য সমন্ধে তোমার ধারণা যদি শুধুমাত্র অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা হয় ,তাহলে তুমি নিশ্চিতভাবে তোমার সম্পূর্ণ সম্ভাব্যকে খুঁজে বার করবে না।
“ ১০) ” কোনো প্রতিকূলতাই বাধা নয় যদি তুমি সচেতন ভাবে সাড়া দেওয়ার অবস্থায় থাক। “ সদ্গুরু অনুপ্রেরণামূলক বাণী
১১) ” হাসি একটি অভিব্যক্তি নয়, অন্যলোকেরা হয়তো একে কোনো একটি ভাবের অভিব্যক্তি হিসেবে দেখতে পারে, কিন্তু যদি তুমি এক নিরুদ্বিগ্ন এবং মনোরম অবস্থায় থাক, তা হলে তোমার আশেপাশে কেউ না থাকলেও তোমার মুখে একটা হাসি লেগেই থাকবে।
“ ১২) ” তোমার বাসনাগুলো পূর্ণ করার বদলে যদি তুমি নিজের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে নাও, তবে তুমি আরও সুন্দর ভাবে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারবে ,আর সবকিছু বেশ ভালোভাবে করতে পারবে।
“ ১৩) ” অজ্ঞানতা একটি সীমাহীন বাস্তবতা। যা তোমার জানা বাকি, তা এক সীমাহীন সম্ভাবনা। “ ১৪) ” যাকে তুমি সাফল্য মনে কর , তার তুলনায় যাকে সাধারণ ভাবে ব্যর্থতা ভাবা হয় তা তোমার
জীবনের অনুভবকে অনেক বেশি গভীরতা দেয়।
জীবনের অনুভবকে অনেক বেশি গভীরতা দেয়।
“ ১৫ ) ” স্বাস্থ্য শুধুমাত্র রোগমুক্ত হওয়া নয়। স্বাস্থ্য তখনই যখন আপনার শরীরের প্রতিটি কোষ জীবনের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হচ্ছে। “ সদ্গুরু উক্তি ১৬) ” কার্যকর হওয়ার জন্য আধ্যাত্মিক আনন্দগুলির কোন একটি বিশেষ সংস্কৃতি , ধর্মমত বা শাস্ত্রের সাথে চিহ্নিত হওয়া উচিত নয়। “ ১৭) ” সম্ভাবনা আর বাস্তবতার মধ্যে দূরত্ব আছে। তোমার কি সেই সাহস আর সংকল্প আছে এই দূরত্বটুকু পার করার।
“ ১৮) ” ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতাগুলি অচেতনভাবে তোমার দ্বারা তৈরি। যদি তুমি তাদের সৃষ্টি না করো ,তবে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই।
“ ১৯) ” যদি তোমার কাছে এক বৃহত্তর ,আরও বেশি নিজের মধ্যে সকলকে গ্রহণ করার মত ,এবং অফুরন্ত উদ্দেশ্য থাকে ,তবে তুমি প্রতিদিন সাফল্যের মধুর স্বাদ উপভোগ করবে। “ ২০) ” ভরসা মানে এই নয় যে তুমি যেমন প্রত্যাশা কর , অন্যদেরও সেরকমই কিছু করতে হবে। ভরসা মানে হল নিজে নিরাপত্তাহীন হয়ে যাওয়া।
“ ২১) ” ক্ষমতা ওরকম মানুষদের দেয়া উচিত নয় যাদের নিজের ভিতরে অন্যদের গ্রহণ করে নেয়ার মানসিকতা নেই।
“ ২২) ” ব্যথা বেদনার ভয়ে তুমি নিজের জীবনকে অর্ধেক ও অসম্পূর্ণ রূপে যাপন করে থাকো। জীবনকে সম্পূর্ণরূপে যাপন করার জন্য ব্যাথা বেদনার ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
“ ২৩) ” অবিশ্বাস্য কাজগুলোকেই সহজে করা যেতে পারে যদি আমরা সেগুলোকে করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রূতিবদ্ধ হই। “ ২৪) ” তোমার অধিকাংশ ইচ্ছাই বাস্তবে তোমার নিজের ইচ্ছা হয় না। তুমি শুধু সেইসব ইচ্ছাকে তোমার সামাজিক পরিবেশ থেকে নিয়ে থাকো।
“ Sadguru Quotes Download in Bengali
২৬) ” কোনো কাজই চাপ পূর্ণ নয়। শরীর , মন এবং ভাবনাকে পরিচালনা করার তোমার অক্ষমতাই সেসব কাজকে চাপপূর্ণ বানায়।
” ২৭) ” প্ৰত্যেক মানুষ একরকমের হয়না তাই মানুষকে তুলনা করা ছাড়ুন বরং প্রত্যেককে সমান সুযোগ সুবিধা দিন।
“ ২৮) ” মানুষরা বইকে পবিত্র বলে। কিন্তু তাদের এটাও বুঝতে হবে যে ,জীবনও একটা পবিত্র জিনিস।
“ ২৯) ” যে মানুষদের তুমি পছন্দ কর বা ভালোবাসো ,শুধু তাদের সাথেই তুমি জড়িত নও। যাদের তুমি অপছন্দ বা ঘৃণা কর ,তাদের সঙ্গে তোমার সংযুক্তি আরও অনেক গভীর।
“ ৩০) ” জীবন হল সময় ও শক্তির এক নাচ। এদুটিকে সঠিক ছন্দে রাখাটাই হল জীবনের সৌন্দর্য। “ ৩১) ” ধ্যান কোন কাজ নয় বরং এটা একটা গুন।
“ ৩২) ” নিজের অস্তিত্বের সৌন্দর্যতা সম্পর্কে জানার একটা উপায় হল মেডিটেশন। “ সদ্গুরু বাণী
৩৩) ” বেশিরভাগ মানুষ খাঁচায় বন্দী পাখির মতো যারা নিজের সেই খাঁচাকে সোনায় মোড়াতে সারাজীবন ব্যস্ত থাকে এবং তারা চূড়ান্ত লক্ষ্যের পথে যাওয়ার চেষ্টাও করে না।
“ ৩৪) ” আমি বুঝতে পারিনা মানুষ কেন নিজের মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমি চাই তারা যেন তাদের মস্তিস্ককে স্বাধীন করে দেয়।
“ ৩৬) ” অবশ্যই সচেতনতা ছাড়া স্বাধীনতা ভীষণ বিপদজনক হয়ে থাকে।
“ জেনে রাখো : ডেল কার্নেগীর বিখ্যাত ৩০ টি উক্তি
৩৮) ” আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া মনোভাব বা আচরণ পরিবর্তন নয়, কিন্তু আপনি যেভাবে ভাবেন, অনুভব করেন আর জীবনে উপলব্ধি করেন তার মৌলিক বা ভিত্তিগত পরিবর্তন।” ৩৯) ” যখন তোমার মন সম্পূর্ণ নিশ্চল হয়ে যায়, তখনই বুদ্ধিবৃত্তি মানবিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে।
” ৪০) ” অস্তিত্বে সবকিছুই রয়েছে বেগবান গতিতে। হয় এর সঙ্গে এগিয়ে চলো অথবা এর উর্ধে উঠে যাও।
“ ৪১) ” করুনা ক্ষমা করা বা দয়া দেখানো নয়। এটা হল চারপাশের সমস্ত কিছুর সাথে আবেগ ও উৎসাহের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া।
“ ৪২) ” যদি প্রতিদিন নয়, তো অন্তত মাসে একবার খতিয়ে দেখুন আপনি কি আরও ভালো একটি মানুষে বিকশিত হয়ে উঠেছেন ?
৪৩) ” জীবনের অর্থ কি ? এটা এমন একটা মহান ঘটনা, যেটাকে কোনো অর্থের মধ্যেই বাধা যাবেনা।
“ ৪৪) ” সম্পত্তিকে নিজের ভালোর জন্য ব্যবহার করতে হলে তোমার আধ্যাত্মিক উপাদানের প্রয়োজন। সেটা ছাড়া তোমার সাফল্য তোমার বিরুদ্ধেই কাজ করবে।
“ ৪৫) ” যদি আপনি সৃষ্টির দিকে তাকান, যেভাবে এটা রয়েছে , এটা সাঙ্ঘাতিক সুন্দর। আপনাকে এতে আর কোনও কিছু জুড়তে হবে না – না আপনার নিজের জীবনে না অন্য কিছুতে।
“ ৪৬ ) ” অস্তিত্বের বৃহত্তম শক্তি হল চেতনা , আর সেটা হলে স্বয়ং তুমি।
“ সদ্গুরু অনুপ্রেরণামূলক বাণী ৪৭) ”
শিশুরা তোমার কথা শোনে না। ওরা মনোযোগ দিয়ে তোমাদের দেখে।
“ ৪৮) ” শরীরে যদি যৌনতা থাকে, সেটা ঠিক আছে। যদি মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে , বিকৃত হয়ে ওঠে।
“ ৪৯) ” তুমি যদি তোমার সম্পর্ক বজায় রাখতে চাও , সবসময় নিজেকে মনে করাও যে অন্যজন তোমার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
“ ৫০ ) ” জীবন আপনার ভেতর থেকে ঘটে। জীবনের উৎসটিই যদি আপনার জীবনে সবচেয়ে কর্তৃত্ব করে তাহলে প্রশংসা আর উপহাসের মতামত কোনও মূল্য রাখে না। লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।
No comments:
Post a Comment
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me.