রতন টাটার জীবনে প্রেম এসেছিল, বিয়েটা...
ভারতের শিল্পপতি রতন টাটার নাম প্রায় সবারই জানা। চিরকুমার তিনি। তবে তাঁর জীবনেও প্রেম এসেছিল। বিয়েটাও প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। ফেসবুক পেজ হিউম্যানস অব বম্বেতে সে গল্পই বলেছেন রতন টাটা। হিউম্যানস অব বম্বেতে রতন টাটা (৮২) তাঁর জীবনের অনেক গল্পই বলেছেন। এর মধ্যে আছে, মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তাঁর জীবনটা কেমন ছিল, কীভাবে দাদির সঙ্গে শৈশব কেটেছে, দাদি তাঁকে জীবনে কী শিখিয়েছেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জীবন, সে সময়ে প্রেমে পড়ার গল্প। হিউম্যানস অব বম্বেতে নিজের জীবনের তিন অধ্যায়ের গল্প বলেছেন রতন টাটা। এনডিটিভিতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রতন টাটা বলেছেন, তাঁর শৈশব ছিল খুব আনন্দের। যদিও মা-বাবার বিচ্ছেদের প্রভাব তাঁর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর পড়েছিল। ১০ বছর বয়সে রতন টাটার মা নাভাল ও বাবা সোনি টাটার বিচ্ছেদ হয়। দাদি নাভাজবাই টাটার কাছেই বড় হন রতন টাটা। দাদি আর রতন টাটা। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ দাদি আর রতন টাটা। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ গত বুধবার রাতে হিউম্যানস অব বম্বে ফেসবুক পেজে এসব গল্প শেয়ার করার পর তা ভাইরাল হয়।
আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পড়ে এই পোস্টে। তিন হাজারের বেশি শেয়ার হয়। মন্তব্য আসে ১৬০০। রতন টাটা বলেন, ‘এখনো মনে পড়ে, দাদি আমাকে ও আমার ভাইকে গরমের ছুটিতে লন্ডন নিয়ে যেতেন। দাদি আমাদের জীবনের বিভিন্ন মূল্যবোধের বিষয়ে জ্ঞান দিতেন। শেখাতেন কোন কথা বলতে হয় না, কোন পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে হয়।’ বাবার সঙ্গে বেশ দূরত্ব ছিল রতন টাটার। বলেছেন, ‘আমি বেহালা বাজানো শিখতে চাইতাম। কিন্তু বাবা আমাকে পিয়ানো শেখাতে চাইতেন। আমি যুক্তরাষ্ট্রে কলেজে পড়তে চাইতাম। কিন্তু তিনি চাইতেন আমি যুক্তরাজ্যে পড়ি। আমি স্থপতি হতে চেয়েছিলাম। বাবা আমাকে প্রকৌশলী বানাতে চেয়েছিলেন।’ ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটা এখন যেমন। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটা এখন যেমন। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন রতন টাটা। সে জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান দাদিকে। স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর বাবার সঙ্গে বিরোধটা বাড়ে। লস অ্যাঞ্জেলসে চাকরি নেন। সেখানে তিনি দুই বছর চাকরি করেন। রতন টাটা স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘সে সময়টা খুব ভালো ছিল। আবহাওয়া ছিল সুন্দর। আমার নিজের একটি গাড়ি ছিল। চাকরিটা করতেও খুব ভালো লাগত।’ লস অ্যাঞ্জেলেসেই এক নারীর প্রেমে পড়েন রতন টাটা। বিয়েটাও প্রায় হয়ে যাচ্ছিল। সে সময়ই দাদির অসুস্থতার জন্য টাটাকে ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তিনি ভেবেছিলেন, যে নারীকে তিনি ভালোবাসেন তিনিও তাঁর সঙ্গে ভারতে যাবেন। ১৯৬২ সালে ইন্দো-চীন যুদ্ধের কারণে ওই নারীর মা-বাবা তা চাননি। টাটার সঙ্গে সেই নারীর সম্পর্কের সেখানেই শেষ।
Source of : prothomalo
raton tata |
ভারতের শিল্পপতি রতন টাটার নাম প্রায় সবারই জানা। চিরকুমার তিনি। তবে তাঁর জীবনেও প্রেম এসেছিল। বিয়েটাও প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। ফেসবুক পেজ হিউম্যানস অব বম্বেতে সে গল্পই বলেছেন রতন টাটা। হিউম্যানস অব বম্বেতে রতন টাটা (৮২) তাঁর জীবনের অনেক গল্পই বলেছেন। এর মধ্যে আছে, মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তাঁর জীবনটা কেমন ছিল, কীভাবে দাদির সঙ্গে শৈশব কেটেছে, দাদি তাঁকে জীবনে কী শিখিয়েছেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জীবন, সে সময়ে প্রেমে পড়ার গল্প। হিউম্যানস অব বম্বেতে নিজের জীবনের তিন অধ্যায়ের গল্প বলেছেন রতন টাটা। এনডিটিভিতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রতন টাটা বলেছেন, তাঁর শৈশব ছিল খুব আনন্দের। যদিও মা-বাবার বিচ্ছেদের প্রভাব তাঁর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর পড়েছিল। ১০ বছর বয়সে রতন টাটার মা নাভাল ও বাবা সোনি টাটার বিচ্ছেদ হয়। দাদি নাভাজবাই টাটার কাছেই বড় হন রতন টাটা। দাদি আর রতন টাটা। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ দাদি আর রতন টাটা। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ গত বুধবার রাতে হিউম্যানস অব বম্বে ফেসবুক পেজে এসব গল্প শেয়ার করার পর তা ভাইরাল হয়।
আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পড়ে এই পোস্টে। তিন হাজারের বেশি শেয়ার হয়। মন্তব্য আসে ১৬০০। রতন টাটা বলেন, ‘এখনো মনে পড়ে, দাদি আমাকে ও আমার ভাইকে গরমের ছুটিতে লন্ডন নিয়ে যেতেন। দাদি আমাদের জীবনের বিভিন্ন মূল্যবোধের বিষয়ে জ্ঞান দিতেন। শেখাতেন কোন কথা বলতে হয় না, কোন পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে হয়।’ বাবার সঙ্গে বেশ দূরত্ব ছিল রতন টাটার। বলেছেন, ‘আমি বেহালা বাজানো শিখতে চাইতাম। কিন্তু বাবা আমাকে পিয়ানো শেখাতে চাইতেন। আমি যুক্তরাষ্ট্রে কলেজে পড়তে চাইতাম। কিন্তু তিনি চাইতেন আমি যুক্তরাজ্যে পড়ি। আমি স্থপতি হতে চেয়েছিলাম। বাবা আমাকে প্রকৌশলী বানাতে চেয়েছিলেন।’ ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটা এখন যেমন। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটা এখন যেমন। ছবি: হিউম্যানস অব বম্বে পেজ যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন রতন টাটা। সে জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান দাদিকে। স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর বাবার সঙ্গে বিরোধটা বাড়ে। লস অ্যাঞ্জেলসে চাকরি নেন। সেখানে তিনি দুই বছর চাকরি করেন। রতন টাটা স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘সে সময়টা খুব ভালো ছিল। আবহাওয়া ছিল সুন্দর। আমার নিজের একটি গাড়ি ছিল। চাকরিটা করতেও খুব ভালো লাগত।’ লস অ্যাঞ্জেলেসেই এক নারীর প্রেমে পড়েন রতন টাটা। বিয়েটাও প্রায় হয়ে যাচ্ছিল। সে সময়ই দাদির অসুস্থতার জন্য টাটাকে ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তিনি ভেবেছিলেন, যে নারীকে তিনি ভালোবাসেন তিনিও তাঁর সঙ্গে ভারতে যাবেন। ১৯৬২ সালে ইন্দো-চীন যুদ্ধের কারণে ওই নারীর মা-বাবা তা চাননি। টাটার সঙ্গে সেই নারীর সম্পর্কের সেখানেই শেষ।
Source of : prothomalo
No comments:
Post a Comment
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me.